Currently Empty: ৳ 0.00
NU to Visa
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদেশে স্কলারশিপ ও ভিসা পাওয়ার উপায়
স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য করণীয় কি?
স্কলারশিপের জন্য দরকার হল, ভালো রেজাল্ট, ভাষা দক্ষতা, সময়মত পরিকল্পনা গহন ও নিরলস প্রচেষ্টা। এ কয়টি জিনিসই বিদেশে উচ্চশিক্ষা বৃত্তি পাওয়ার পূর্বশর্ত। এ বিষয়গুলো যথা যথভাবে পালন করলেই স্কলারশিপ খুব সহজেই হাতে নাগালে চলে আসবে। অন্যথায় পণ্ডশ্রমই করে যেতে হবে। তখন স্কলারশিপ নামক সোনার হরিণ আর ধরা দেবে না। মনে রাখতে হবে যে শিক্ষার্থী দেশে স্কলারশিপ
পাওয়ার জন্য যোগ্য সে বিদেশেও বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য। রেজাল্ট খারাপ, ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা নেই এমন শিক্ষার্থীর জন্য কিন্তু ফুল স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভনা কম।
হাঁ সে আংশিক স্কলারশিপ পেতে পারে।মূলত দেখার বিষয় হল, সংশ্লিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ উচ্চশিক্ষা বৃত্তির জন্য যা চায় আপনার তা আছে কিনা?
বিদেশে উচ্চশিক্ষা বৃত্তি জন্য Youth Opportunities, youth carnival, খোলা বাক্স, এর মত ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করতে পারেন।
অথবা যে দেশে বা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান সে দেশ বা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর নিজস্ব ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে কখন তারা উচ্চশিক্ষা বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাল করে।
ভাষা দক্ষতা কেমন লাগে?
এ পর আপনার যা লাগবে সেটি হল ভাষার দক্ষতা। আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশের প্রধান ভাষা যেহেতু ইংরেজি তাই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। যেহেতু পৃথিবীর প্রায় সকল দেশই নিজদেশের ভাষা অথবা আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনা করতে হয়।
সুতরাং বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজন ভাষাগত দক্ষতা। আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে প্রায় পৃথিবীর সব দেশেই ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশোনা করা যায়। তাই বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ইংরেজী বিষয়ে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। এমকি দেশেও প্রায় সকল সাবজেক্টে ইংরেজিতে পড়তে এবং লিখতে হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মাত্রায় স্কোর চাওয়া হয়। তবে বেশিরভাগই আইইএলটিএস (IELTS) স্কোর ৫.৫ থেকে ৬.৫। এবং টোফেল (TOEFL) স্কোর ৬০ থেকে ১০০ পর্যন্ত চায়। এছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে জিআরই (GRE) অর্থাৎ- Graduate Record Examination, জিম্যাট (GMAT) অর্থাৎ- Grauate Management Admission Test, নিউস্যাট (NEWSAT) ইত্যাদি পরীক্ষার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
কিভাবে বিদেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন?
ধরেন আপনি কানাডার একটি বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে চান। তাহলে আপনার প্রথম কাজ হল সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। প্রস্ততি বলতে আমি বলছি না যে শুধু ভাল ফল অর্জন করলেই চলবে। বরং যে দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান সে দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে ভালো ধরণা নিতে হবে। সংশ্লিষ্ঠ দেশের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার যোগ্যতাটাও তৈরি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ভর্তির প্রাথমিক অনুমতি জানিয়ে যে চিঠি দিবে তাই অফার লেটার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত অফার লেটার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বার বার পড়তে হবে। ভালভাবে জেনে নিন টিউশন ফির পরিমাণসহ অন্যান্য বিষয়।
কোন দেশের স্টুডেন্ট ভিসা নেবেন?
আপনি বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাবেন কিনা এর উপর ভিত্তি করে দেশ নির্বাচ করা উচিৎ। কারণ বিদেশে পড়ালেখার সাথে ব্যায়ের সম্পর্ক রয়েছে। যদি স্কলারশিপ পেয়ে যান, তাহলে বিশ্বের এক নম্বর দেশের ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং এ এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে অসুবিধা নাই। কিন্তু যদি স্কলারশিপ না পান। অথবা আংশিক স্কলারশিপ পান সেক্ষেত্রে আপনার সামর্থ অনুযায়ি দেশ নির্বাচন করা উচিৎ। কারণ, আমেরিকায় সাধারণত গ্রাজুয়েট লেভে পড়তে বছরে বিশ লাখ টাকা লাগে। কানাডায় বছরে পনের লাখ টাকা লাগে। অস্ট্রেলিয়া ও ইউকেতে পনের থেকে আঠারো লাখ টাকা লাগে। মালয়েশিয়া, চায়না ও ইন্ডিয়ায় মোটামুটি বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মতই পড়া লেখার খরচ।
কীভাবে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করবেন?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর তাদের পাঠানো অফার লেটার বা ভর্তির অনুমতিপত্রে উল্লেখিত ডেডলাইনের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানে পৌছাতে হবে। অন্যথায় ভর্তি বাতিল হবে। তাই নির্দিষ্ট তারিখের পূর্বে আপনাকে সেদেশের ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও প্রায় সব নিয়মই এক রকম। কোন দেশে ভিসা পেতে হলে প্রথমে সে দেশের ভিসার আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই ভিসার আবেদনপত্র সরবরাহ করে থাকে। তা না হলে নির্দিষ্ট দূতাবাস থেকে ভিসার আবেদনপত্র সংগ্রহ করে সঠিক তথ্য দিয়ে নির্ভুল ভাবে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ দূতাবাসে জমা দিতে হবে এবং নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসার জন্য সাধারনত যে সব কাগজপত্র লাগে-
- শিক্ষাগত কাগজপত্রঃ সনদপত্র, নম্বরপত্র, প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশংসাপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ মূলকপি।
- পাসপোর্টঃ পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ১ বছর থাকতে হবে এবং পেশা, জন্ম তারিখ ও অন্যান্য সকল তথ্যের সাথে শিক্ষাগত
কাগজ পত্রের মিল থাকতে হবে। আপনার পাসপোর্ট করা না থাকলে পাসপোর্ট করে নিন। - শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমানপত্র বা অফার লেটার।
- আর্থিক সামর্থ্যের প্রমানপত্রঃ আবেদন ও ভর্তি প্রসেসিং অংশে এ সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নিন।
- ছবিঃ সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে, পরিস্কার ভদ্র পোশাকে তোলা স্মার্ট ও স্পষ্ট ছবি হলে ভাল হয় এবং রঙ্গিন হওয়াই উত্তম।
- টিউশন ফি’র ব্যাংক ড্রাফটঃ প্রতিষ্ঠান ভেদে টিউশন ফি ভিন্ন হয়ে থাকে।
- ভাষাগত দক্ষতার প্রমানপত্রঃ আবেদন ও ভর্তি প্রসেসিং অংশে দেখুন।
- পুলিশ ছাড়পত্রঃ পুলিশ ছাড়পত্রের জন্য নিজ নিজ থানায় যোগাযোগ করে একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদানের মাধ্যমে এটি সংগ্রহ করা যায়। তবে আপনার বিরুদ্ধে দেশ ও আইনবিরোধী কন কাজে জরিত থাকের অভিযোগ থাকলে আপনি পুলিশ ছাড়পত্র পাবেন না।